জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনির পর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে মামলা করেন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
সুদীপ্ত শাহীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ শ্রাবণ গাজী হত্যার সাভার মডেল থানার ০৮ নম্বর মামলার ১৯ নম্বর আসামি। এছাড়াও এ মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর চার ব্যাক্তির নাম রয়েছে। তারা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল, শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান লিটন, ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল আলম তাকিদ এবং ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুর রহমান সাগর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান বলেন, ‘মামলার এজাহার অফিসিয়ালি আমাদের হাতে আসেনি। যদি অফিসিয়ালি এ বিষয়ে সাভার থানা আমাদের অবহিত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অফিসিয়ালি তার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
শামীম হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় সুদীপ্ত শাহীনকে কেন বাদী করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যত মামলা করা হয়েছে সেই রীতি অনুসারে তাকে বাদী করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে তাকে বাদী করা হয়েছে। ‘
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদের হত্যাকারীদের ধরতে ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের পুলিশ রিফর্মেশন সম্পন্ন হলেই এসপি স্যারের নির্দেশনায় এ ব্যাপরে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যেহেতু অনেক পুলিশ সদস্যকে এখনো বদলি করা হচ্ছে, তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। ‘
উল্লেখ্য, সুদীপ্ত শাহীন গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় মদদদাতা শিক্ষকদের প্রটোকল দেন এবং শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় সহায়তা করেন।