বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজীর হত্যা মামলার জাবির পাঁচ আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শ্রাবণ গাজীর হত্যা মামলার পাঁচ আসামি হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল, শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান লিটন, ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল আলম তাকিদ, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন এবং ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুর রহমান সাগর।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদের হত্যাকারীদের ধরতে ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের পুলিশ রিফর্মেশন সম্পন্ন হলেই এসপি স্যারের নির্দেশনায় এ ব্যাপরে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যেহেতু অনেক পুলিশ সদস্যকে এখনো বদলি করা হচ্ছে, তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। ‘
শ্রাবণ গাজীর হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টায় সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডস্থ নিউ মার্কেটের সামনে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শ্রাবণ গাজী (২০) ছাত্রদের যৌক্তিক দাবীর পক্ষে একাত্বতা পোষণ করে আন্দোলনে যোগদান করেন। আন্দোলন করতে থাকাবস্থায় উল্লেখিত আসামীদের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে এবং প্ররোচনায় উল্লেখিত আসামীরাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরাসহ আওয়ামী অঙ্গ সংঘঠনের অজ্ঞাতনামা আরও আসামীরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ধাওয়া করে যাকে পায় তাকেই এলোপাথারী পিটায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া উপর্যুপরী গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এসময় শ্রাবণ গাজীর মাথার বিভিন্ন অংশে গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে ছাত্ররা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আশুলিয়া থানাধীন গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, শ্রাবণ গাজী মালেশিয়া টুংকু আব্দুর রহমান ইউনিভার্সিটিতে অনার্স সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছিলেন। তিনি গত ১৬ তারিখ ছুটিতে মালেশিয়া হতে বাংলাদেশে আসে এবং আন্দোলনে যোগ দেন।