জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯-তম ব্যচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। সে ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা মহল্লার মো. লাবু খানের ছেলে এবং ধামরাই সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
বর্তমানে তিনি আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং তাকে জাবিতে গনপিটুনিতে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে মারধর করে। গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা তাকে আরেক দফা গণপিটুনি দেয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শামীম মোল্লা।
এঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটি রেজিস্টার-১ (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৪৪) দায়ের করেছেন।
নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাসের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা (ছিনতাই, অস্ত্র, মাদক) রয়েছে।