ট্রাকটির চালক ছিলেন ঘুমিয়ে। ট্রাক চালাচ্ছিলেন তাঁর সহকারী। বিপরীত দিক থেকে আসা আরেক ট্রাকের চালকও চালকের আসনে বসে ঢুলছিলেন। ঘুম ঘুম ভাব থাকায় নিয়ন্ত্রণে ছিল না ট্রাক। টালমাটাল হয়ে চলছিল। ট্রাক দুটি পরস্পরের কাছে আসতেই লেগে যায় সংঘর্ষ।
আহত হয়েছেন চালকের দুই সহকারী। গতকাল শুক্রবার রাতে নাটোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনের সামনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাকচালক মো. হাসান (৩০) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার খেমীরদা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে
নাটোর ট্রাফিক অফিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে বগুড়া থেকে আসা আলুবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে বগুড়াগামী চালবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রাকের ইঞ্জিন দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্য আহত চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চালক হাসান মারা যান।
চালক হাসানের সহকারী জাহিদ হোসেনের তথ্যমতে, চালক তাঁকে ট্রাক চালাতে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের চালকও ঘুমে ঢুলছিলেন। তিনি সড়কের মাঝ দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এতে সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা তাঁরা দুজনই ট্রাকের ভেতর আটকা পড়ে ছিলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সকালে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক দুটিকে সড়কের পশ্চিম পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত সার্জেন্ট হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় ওয়ারেন্ট তামিলের কাজে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করি এবং সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নিই। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চালকদের ঘুমের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’